নিজস্ব সংবাদাতা: স্থানীয় জিএম খলিল ও তার ছেলে তানভীর, ভাগ্নে সোলেমান এবং ভাইয়ের ছেলে আলামিন সহ বেশ কয়েকজন সঙ্গবদ্ধ হয়ে ধারালো রামদা, লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের ৬ সদস্যকে।বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামে। এদের মধ্যে ধারালো রামদায়ের কোপে এবং হকিস্টিক লোহার রডের আঘাতে আহত চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
আহতরা হলেন গোবিন্দ শীল (৬০), ও তার স্ত্রী মঞ্জু রানি (৫০) আপন ভাই হরে কৃষ্ণ শীল (৫০) এবং তার ছেলে গৌতম চন্দ্র শীল (২৫)। এছাড়াও আহত হয়েছেন হরে কৃষ্ণ শীলের মেয়ে মিতালী এবং গোবিন্দ শীলের ভাইয়ের ছেলে বউ পপি রানী। তান্ডব আর বর্বরতা চলাকালীন সময় এই সন্ত্রাসী বাহিনী উপর্যুপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করেই কেবল থেমে থাকেনি, জীবননাশের হুমকি এবং দেশ ছাড়ার হুমকিও দিতে থাকে হিন্দু পরিবারটিকে।ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে জানা যায়, আহত গোবিন্দ শীলের পাশ্ববর্তী কিছু জায়গা ক্রয় করে জি এম খলিল গং, তারই ধারাবাহিকতায় পুরো জায়গাটার মালিকানা দাবি করে সম্পূর্ণ অস্ত্র এবং পেশীশক্তির জোরে দখল করার হীন মানসে গত ৩১শে জানুয়ারি রবিবার বিকেল ৫ টায় অবৈধভাবে সেখানে চাষাবাদ করার চেষ্টাকালে গোবিন্দ শীলের পরিবার তাতে বাধা প্রদান করলে, তিনি সহ তাঁর পরিবারের সকলের উপর এই বর্বর নির্যাতন নেমে আসে।
এই ঘটনায় মামলাও দায়ের হয়েছে এবং আরো দূঃখজনক হচ্ছে আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে গোবিন্দ শীলের পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। প্রাণভয়ে গোবিন্দ শীলের পুরো পরিবার বিশেষ করে উনার ছেলে উত্তম কুমার বাড়ি থেকে পর্যন্ত বের হওয়ার সাহস পাচ্ছেনা। গত ৩১শে জানুয়ারি বিকেল ৫টায় বর্বরোচিত এই ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামে। ওই সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং নিজেদের ভিটেমাটি আর পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসন সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/somoyenews/public_html/wp-includes/functions.php on line 5667caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/somoyenews/public_html/wp-includes/functions.php on line 5667
Leave a Reply